“জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২” এর ৭(ঝ) ধারা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভূক্তি জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আবেদন গ্রহণ ও যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গেজেটভুক্তির সুপারিশ করে থাকে। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপসমূহ নিম্নরুপঃ
১। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবরের পূর্বে সরাসরি জামুকায় আবেদন এবং ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
২। সরাসরি এবং অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদনসমূহকে নীতিমালা অনুসারে উপজেলাওয়ারী যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা/ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির নিকট প্রেরণ।
৩। উপজেলা/ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট হতে যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন প্রাপ্তি।
৪। বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নীতিমালা-২০১৬ অনুসারে উপজেলা/ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট হতে “ক”, “খ” ও “গ” তালিকার প্রতিবেদন চাওয়া হয়। ক=মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট মুক্তির জন্য সুপারিশকৃত, খ=সিদ্ধান্ত প্রদানে দ্বিধাবিভক্ত এবং গ= নামঞ্জুর।
৫। উপজেলা/ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট হতে “খ” ও “গ” তালিকায় সুপারিশকৃতদের নীতিমালায় আপিল করার ব্যবস্থা রাখা হয়।
৬। আপিল কমিটি প্রদত্ত নির্ধারিত সময়ে আপিল আবেদনসমূহ সাক্ষ্য ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে কাউন্সিলের নিকট সুপারিশ প্রদান করেন।
৭। উপজেলা/ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট হতে “ক” তালিকায় সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রমাণসমূহ জামুকার বিভাগীয় সদস্য কর্তৃক যাচাই করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য কাউন্সিলের নিকট সুপারিশ প্রদান করেন।
৮। পরিশেষে, কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে গেজেট প্রকাশের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
বিঃ দ্রঃ গেজেটে অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত নতুন কোন আবেদন পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় না।