মহান স্বাধীনতা বাঙ্গালী জাতীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত/সম্ভ্রম আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীন দেশ, স্বাধীন পতাকা। জাতি শ্রদ্ধাভরে আত্বোৎসর্গকারীদেরস্মরণ করি। আমরা স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার অনুপ্রেরণায় সমগ্র জাতি একটি ভূ-খন্ড পেয়েছে। বাঙ্গালী জাতীর এ ত্যাগকে স্মরন করতে এবং তাদের কল্যানার্থে জাতীয় মুকিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ (৮ নং আইন) প্রণয়ন করেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নিম্নরূপ কার্যাবলী উক্ত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ঃ-
১। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতীয় পর্যায় সহ জেলা থানা ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ।
২। মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য প্রযোজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ সহ সর্বোতভাবে পুর্ণবাসন।৩। রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সকল স্তরে মুকিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখা ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে সকল শ্রেণীর শিশু, কিশোর, যুবক, ছাত্র, শ্রমিক, শিক্ষক, কৃষক, মহিলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সকল শ্রেণীর পেশাজীবীদের সমন্বয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অঙ্গ সংগঠন গঠন, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান।
৫। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের নিবন্ধীকরণ।
৬। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের নিবন্ধীকরণ ফিস, নবায়ন ফিস ইত্যাদি নির্ধারণ।
৭। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্মৃতি রক্ষার্থে গৃহিত প্রকল্প পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান এবং ভবিষ্যত প্রকল্প গ্রহণ।
৮। সরকারী ও বেসরকারী ব্যক্তি সংস্থা ও সংগঠন কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মৃতি আদর্শ সংক্রান্ত সৌধ ভাস্কর্য, যাদুঘর ইত্যাদি নির্মানের অনুমতি প্রদান রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান।
৯। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, সনদপত্র ও প্রত্যয়ন পত্র প্রদানে এবং জাল ও ভূয়া সনদপত্র ও প্রত্যয়ন পত্র বাতিলের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ।
১০। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত কার্যাবলী সম্পাদন।